১০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদরা জাতীয় ঐক্য গড়ে দেশকে বাঁচান ………আহসান উল্লাহ শামীম   

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  • Update Time : ১২:১৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৮০ Time View
নাগরিক মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী আহসান উল্লাহ শামীম ১৯ অক্টোবর এক বিবৃতিতে বলেন, দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদরা জাতীয় ঐক্য গড়ে দেশকে বাঁচানোর সময় এখন। দেশে জাতীয় দুর্যোগ মুহুর্তে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে যারা দেশ ও জনগণের কল্যাণে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ এগিয়ে আসেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ মুহূর্তে জনগণ আপনাদেরকেই সর্বপ্রথম পাশে পায়,তাই সময় থাকতে নিরাপত্তার চাদরে দেশকে ঢেকে  দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপরস্ত ও দায়িত্বশীলদেরকে নিয়ে আপনারা দ্রুত বৈঠক করুন এবং এই মুহূর্তে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী র এবং বাংলাদেশের পরাজিত শক্তি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সহ দুষ্কৃতিকারীরা দেশকে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জনগণ আপনাদেরকে বিশ্বাসের সাথে ভালবাসে তাই প্রকাশ্যে জনগণের কাছে রাষ্ট্রের স্বার্থে যথাযথ দায়িত্বশীলের ভূমিকা আগেও আপনারা পালন করেছেন এবং পালন করে চলছেন। তাই এখনো দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ রাখছি। দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে যা ইতিপূর্বেও বারবার লিখুনির মাধ্যমে দেশবাসীকে অবহিত করেছি। বর্তমানে দেশ দুটি রাজনৈতিক ধারায় বিভক্ত হতে চলছে, একটি পক্ষ ফ্যাসিবাদের রেখে যাওয়া নিয়ম-নীতি ও ধ্বংসাত্বক কর্মসূচি অক্ষুন্ন রেখে যেন তেন করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হতে চায়। অথচ যারা বিগত ১৩টি বছর বাংলাদেশের জনগণকে গুম-খুনের রাজত্ব উপহার দিয়ে জনগণের উপর নির্যাতনের ষ্ট্রিম রোলার চালিয়েছে সেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে যারা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যূত্থানে জীবন দিয়ে পরাজিত করে একটি স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে তাদের নূন্যতম মর্যাদা ও জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি না দিয়ে গোটা জাতিকে আহত করেছে। অথচ এই জুলাই সনদ আইনী ভিত্তি পেলে আগামীতে যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। আজ প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পরাজিত শক্তি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সর্বত্র ধ্বংস ও ষড়যন্ত্রের আগুন নিয়ে সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের করণীয় হলো জুলাই যোদ্ধাদের সাথে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অফিস আদালত স্থাপনা লঞ্চ স্টিমারসহ সর্বত্র নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা গার্ড নিয়োগ করে এবং সর্বত্র তল্লাশি ও নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। শয়তানদের কাজ হচ্ছে সার্বক্ষণিক শয়তানি করা অতএব এদের সাথে কখনো আপোষ হয় না ভালোবাসা করা যায় না।  সরলতা উদারতাকে দুর্বলতা ভেবেই তারা ক্ষতি সাধন করবে। শুধু মাত্র একজন ডক্টর ইউনুস সাহেব কে দোষ দিয়ে লাভ নেই তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে তার চার পাশে  সেক্যুলার নামে ইসলামবিদ্বেষী অপবিত্র হৃদয়ের অধিকারী লোকগুলো বসে আছে যাদের অধিকাংশের ভিতর দেশপ্রেম নেই, ঈমান নেই, শুধু দুনিয়াবি স্বার্থে এরা বিভোর। এই  লোকগুলোকে সরিয়ে পবিত্র আত্মার লোক দিতে হবে  সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে। শয়তানদের ধরে ধরে এখনই বন্দি করার সময়, চুপ থেকে লাভ নেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ওপর দোষ চাপিয়ে লাভ নেই তাদের ভিতরও লক্ষ্য করছি কিছু কিছু ক্ষেত্রে শয়তানের প্রাতাত্মা ভর করেছে আর ভর করেছে বলেই তারা বর্তমান রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায় নাই, তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় নাই, তারা জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ চায় নাই, আমরা গত বছর নাগরিক মঞ্চের নেতৃবৃন্দ তাদের অফিসে আমন্ত্রিত হয়েছিলাম তখন  এই সকল দুষ্কৃতিকারীদের বিষয় অবহিত করেছি এবং বলেছি যে এদেরকে অবসারণ ও নিষিদ্ধ করতে হবে তখন আমাদের প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে তাদের কয়েকজন শীর্ষ নেতা আমাদেরকে বললেন  এদেরকে যদি আমরা অপসারণ বা নিষিদ্ধের দাবি করি তাহলে দেশে অগ্নিসংযোগ করবে নাশকতা করবে, হত্যা সন্ত্রাস ছিনতাই বৃদ্ধি করবে এই আগাম ভবিষ্যৎ বাণী তারা করেছিল এখন জাতি জানতে চায় আপনারা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি কে নিষিদ্ধ করতে চাইলেন না রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে চাইলেন না তাহলে এখন কেন এই হত্যা সন্ত্রাস অগ্নিসংযোগ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল? আপনারা গণকের মত এগুলি আগাম কি করে জেনেছিলেন? নাকি বর্তমান সরকারকে চাপ সৃষ্টি করে দ্রুত ক্ষমতায় যাওয়ার নীল নকশা। এ দেশের জনগণ বিচার করবে সময় সামনে হিসেবে দিতে হবে সকলকে জনগণ বিচারকের আসনে।প্রেস বিজ্ঞপ্তি
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদরা জাতীয় ঐক্য গড়ে দেশকে বাঁচান ………আহসান উল্লাহ শামীম   

Update Time : ১২:১৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
নাগরিক মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী আহসান উল্লাহ শামীম ১৯ অক্টোবর এক বিবৃতিতে বলেন, দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদরা জাতীয় ঐক্য গড়ে দেশকে বাঁচানোর সময় এখন। দেশে জাতীয় দুর্যোগ মুহুর্তে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে যারা দেশ ও জনগণের কল্যাণে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ এগিয়ে আসেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ মুহূর্তে জনগণ আপনাদেরকেই সর্বপ্রথম পাশে পায়,তাই সময় থাকতে নিরাপত্তার চাদরে দেশকে ঢেকে  দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপরস্ত ও দায়িত্বশীলদেরকে নিয়ে আপনারা দ্রুত বৈঠক করুন এবং এই মুহূর্তে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী র এবং বাংলাদেশের পরাজিত শক্তি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সহ দুষ্কৃতিকারীরা দেশকে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জনগণ আপনাদেরকে বিশ্বাসের সাথে ভালবাসে তাই প্রকাশ্যে জনগণের কাছে রাষ্ট্রের স্বার্থে যথাযথ দায়িত্বশীলের ভূমিকা আগেও আপনারা পালন করেছেন এবং পালন করে চলছেন। তাই এখনো দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ রাখছি। দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে যা ইতিপূর্বেও বারবার লিখুনির মাধ্যমে দেশবাসীকে অবহিত করেছি। বর্তমানে দেশ দুটি রাজনৈতিক ধারায় বিভক্ত হতে চলছে, একটি পক্ষ ফ্যাসিবাদের রেখে যাওয়া নিয়ম-নীতি ও ধ্বংসাত্বক কর্মসূচি অক্ষুন্ন রেখে যেন তেন করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হতে চায়। অথচ যারা বিগত ১৩টি বছর বাংলাদেশের জনগণকে গুম-খুনের রাজত্ব উপহার দিয়ে জনগণের উপর নির্যাতনের ষ্ট্রিম রোলার চালিয়েছে সেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে যারা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যূত্থানে জীবন দিয়ে পরাজিত করে একটি স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে তাদের নূন্যতম মর্যাদা ও জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি না দিয়ে গোটা জাতিকে আহত করেছে। অথচ এই জুলাই সনদ আইনী ভিত্তি পেলে আগামীতে যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। আজ প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পরাজিত শক্তি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সর্বত্র ধ্বংস ও ষড়যন্ত্রের আগুন নিয়ে সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের করণীয় হলো জুলাই যোদ্ধাদের সাথে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অফিস আদালত স্থাপনা লঞ্চ স্টিমারসহ সর্বত্র নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা গার্ড নিয়োগ করে এবং সর্বত্র তল্লাশি ও নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। শয়তানদের কাজ হচ্ছে সার্বক্ষণিক শয়তানি করা অতএব এদের সাথে কখনো আপোষ হয় না ভালোবাসা করা যায় না।  সরলতা উদারতাকে দুর্বলতা ভেবেই তারা ক্ষতি সাধন করবে। শুধু মাত্র একজন ডক্টর ইউনুস সাহেব কে দোষ দিয়ে লাভ নেই তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে তার চার পাশে  সেক্যুলার নামে ইসলামবিদ্বেষী অপবিত্র হৃদয়ের অধিকারী লোকগুলো বসে আছে যাদের অধিকাংশের ভিতর দেশপ্রেম নেই, ঈমান নেই, শুধু দুনিয়াবি স্বার্থে এরা বিভোর। এই  লোকগুলোকে সরিয়ে পবিত্র আত্মার লোক দিতে হবে  সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে। শয়তানদের ধরে ধরে এখনই বন্দি করার সময়, চুপ থেকে লাভ নেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ওপর দোষ চাপিয়ে লাভ নেই তাদের ভিতরও লক্ষ্য করছি কিছু কিছু ক্ষেত্রে শয়তানের প্রাতাত্মা ভর করেছে আর ভর করেছে বলেই তারা বর্তমান রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায় নাই, তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় নাই, তারা জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ চায় নাই, আমরা গত বছর নাগরিক মঞ্চের নেতৃবৃন্দ তাদের অফিসে আমন্ত্রিত হয়েছিলাম তখন  এই সকল দুষ্কৃতিকারীদের বিষয় অবহিত করেছি এবং বলেছি যে এদেরকে অবসারণ ও নিষিদ্ধ করতে হবে তখন আমাদের প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে তাদের কয়েকজন শীর্ষ নেতা আমাদেরকে বললেন  এদেরকে যদি আমরা অপসারণ বা নিষিদ্ধের দাবি করি তাহলে দেশে অগ্নিসংযোগ করবে নাশকতা করবে, হত্যা সন্ত্রাস ছিনতাই বৃদ্ধি করবে এই আগাম ভবিষ্যৎ বাণী তারা করেছিল এখন জাতি জানতে চায় আপনারা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি কে নিষিদ্ধ করতে চাইলেন না রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে চাইলেন না তাহলে এখন কেন এই হত্যা সন্ত্রাস অগ্নিসংযোগ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল? আপনারা গণকের মত এগুলি আগাম কি করে জেনেছিলেন? নাকি বর্তমান সরকারকে চাপ সৃষ্টি করে দ্রুত ক্ষমতায় যাওয়ার নীল নকশা। এ দেশের জনগণ বিচার করবে সময় সামনে হিসেবে দিতে হবে সকলকে জনগণ বিচারকের আসনে।প্রেস বিজ্ঞপ্তি