০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

তেঁতুলিয়ায় নিউজ প্রকাশের পর টনক নড়লো কর্তাদের, সহায়তা পেলেন সেই দম্পতি

Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৪৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / ১৫৫ Time View

 পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ হঠাৎ ঝড়ে বসবাসের একমাত্র ঘর হারিয়েও দীর্ঘ দেড় মাস কোনো সরকারি সহায়তা পাননি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দর্জিপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ পাথর শ্রমিক আব্দুল বাসেদ ও তার স্ত্রী বাসিরন। ঈদুল আযহার মতো বড় উৎসবেও কেটেছে না খেয়ে, খোলা আকাশের নিচে ঝুপড়ি ভাঙাচোরা টিনের চালায়।

অবশেষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন। দীর্ঘ দেড় মাস পর সেই অসহায় দম্পতিকে ডেকে দেয়া হল ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকার চেক।

জানা যায়, গত মাসের ১১ মে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে ঘর হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন আব্দুল বাসেদ (৬০) ও তার স্ত্রী বাসিরন বেগম। ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে যাওয়া ঘর হারিয়েও যখন মেলেনি সরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা কিংবা আশ্রয়ের ব্যবস্থা তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন। অবশেষে বুধবার (২৫ জুন) দীর্ঘ দেড় মাস পর সেই অসহায় দম্পতিকে ডেকে দেয়া হল ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকার চেক।

স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, বারবার উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলামের দায়িত্বে গাফিলতির কারণে বহু ত্রাণসামগ্রী পড়ে রয়েছে বিতরণের অপেক্ষায়। অফিসে অনিয়মিত উপস্থিতি ও অগ্রাধিকারহীনতার কারণে সংকটে থাকা পরিবারগুলো ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আরও জানা যায়, হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের ঘর সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের সহায়তায় কিছু ভাঙা টিন ও বাঁশ জোগাড় করে একটি অস্থায়ী ছাউনি বানানো হলেও তা ছিল ঝড়-বৃষ্টিতে একেবারেই অরক্ষিত। ঘুম ভাঙত আতঙ্কে, ভিজে যেত সবকিছু। কিন্তু এতো অসহায়ত্বের পরও সরকারি কোনো সহায়তা পাননি তারা। পিআইও মাইদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও এতোদিন বঞ্চিত ছিলেন তারা।


এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম শাহ সাংবাদিককে বলেন, ‘আজকে বাসেদ দম্পতিকে ২ বান টিন ও ৬হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। শুকনো খাবার ক্রয় ও বরাদ্দের টাকা উত্তোলন হয়েছে কিনা এমনটি জানতে চাইলে, তিনি অফিসে আসার কথা বলে মুঠোফোনে কলটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, পিআইও সাহেব উপস্থিত থেকে বিতরন করেছে। আমরা এর পর থেকে চেষ্টা করবো যথাসময়ে এগুলো বিতরন করার। শুকনো খাবার কেনা হয়েছে এগুলো গরীবের মাঝে দেখে শুনে বিতরণ করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

তেঁতুলিয়ায় নিউজ প্রকাশের পর টনক নড়লো কর্তাদের, সহায়তা পেলেন সেই দম্পতি

Update Time : ০৪:৪৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ হঠাৎ ঝড়ে বসবাসের একমাত্র ঘর হারিয়েও দীর্ঘ দেড় মাস কোনো সরকারি সহায়তা পাননি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দর্জিপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ পাথর শ্রমিক আব্দুল বাসেদ ও তার স্ত্রী বাসিরন। ঈদুল আযহার মতো বড় উৎসবেও কেটেছে না খেয়ে, খোলা আকাশের নিচে ঝুপড়ি ভাঙাচোরা টিনের চালায়।

অবশেষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন। দীর্ঘ দেড় মাস পর সেই অসহায় দম্পতিকে ডেকে দেয়া হল ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকার চেক।

জানা যায়, গত মাসের ১১ মে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে ঘর হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন আব্দুল বাসেদ (৬০) ও তার স্ত্রী বাসিরন বেগম। ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে যাওয়া ঘর হারিয়েও যখন মেলেনি সরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা কিংবা আশ্রয়ের ব্যবস্থা তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন। অবশেষে বুধবার (২৫ জুন) দীর্ঘ দেড় মাস পর সেই অসহায় দম্পতিকে ডেকে দেয়া হল ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকার চেক।

স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, বারবার উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলামের দায়িত্বে গাফিলতির কারণে বহু ত্রাণসামগ্রী পড়ে রয়েছে বিতরণের অপেক্ষায়। অফিসে অনিয়মিত উপস্থিতি ও অগ্রাধিকারহীনতার কারণে সংকটে থাকা পরিবারগুলো ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আরও জানা যায়, হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের ঘর সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের সহায়তায় কিছু ভাঙা টিন ও বাঁশ জোগাড় করে একটি অস্থায়ী ছাউনি বানানো হলেও তা ছিল ঝড়-বৃষ্টিতে একেবারেই অরক্ষিত। ঘুম ভাঙত আতঙ্কে, ভিজে যেত সবকিছু। কিন্তু এতো অসহায়ত্বের পরও সরকারি কোনো সহায়তা পাননি তারা। পিআইও মাইদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও এতোদিন বঞ্চিত ছিলেন তারা।


এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম শাহ সাংবাদিককে বলেন, ‘আজকে বাসেদ দম্পতিকে ২ বান টিন ও ৬হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। শুকনো খাবার ক্রয় ও বরাদ্দের টাকা উত্তোলন হয়েছে কিনা এমনটি জানতে চাইলে, তিনি অফিসে আসার কথা বলে মুঠোফোনে কলটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, পিআইও সাহেব উপস্থিত থেকে বিতরন করেছে। আমরা এর পর থেকে চেষ্টা করবো যথাসময়ে এগুলো বিতরন করার। শুকনো খাবার কেনা হয়েছে এগুলো গরীবের মাঝে দেখে শুনে বিতরণ করা হবে।