০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

চামড়া শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র রুখতে হবে : মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান

Reporter Name
  • Update Time : ০১:১৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / ১৫৪ Time View

কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট এর আমলের পুরনো চক্রও সিন্ডিকেট   আরো বেশী সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের সোনালী আঁশ খ্যাত পাট-শিল্পের ( আদমজী  জুটমিল) ধ্বংসের বিদেশি চক্রান্ত  একরকম  সফল হওয়ার পর অপার সম্ভাবনা ময়  চামড়া শিল্পের ধ্বংসের দেশী- বিদেশি চক্রান্ত একরকম সফল হওয়ার পথে। চামড়া সিন্ডিকেট কৌশলে দরপতন ঘটিয়ে এবারের কোরবানির চামড়ার বাজার ধ্বংস করছে। এতে করে গরিব-অসহায় মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।গত বছরের মতো এবারও কম দামে সব ধরনের চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে ।

আজ ১২ জুন বেলা ১১ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান মানববন্ধন ও সমাবেশে একথা বলেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন এর আহবায়ক সাবেক সহকারী কর কমিশনার মীর্জা শরিফুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন গবেষক ও কলামিস্ট লায়ন মীর আবদুল আলীম, বক্তব্য রাখেন রাজনীতিবিদ লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, রাজনীতিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মিজানুর রহমান  মিজু, মোস্তাক আহমেদ ভাসানী প্রমূখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতি বর্গফুট গরুর চমড়ার দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও চামড়া বিক্রি হয়েছে গতবারের মতোই ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে। কোরবানিদাতাদের থেকে তারা সর্বোচ্চ ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন এবং ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সংগ্রহ করে চামড়ার ন্যায্য দাম মিলছে না। সিন্ডিকেটের কারণে পড়ে গেছে চামড়ার দাম। দাম নিয়ে চলছে অন্তরালের খেলা।  ভূরাজনৈতিক এ খেলা বন্ধ  করতে হবে। দেশে এবার বিপুলসংখ্যক পশু জবাই হলেও নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা। আবার প্রতিবছরের মতো এবারও বেশির ভাগ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে।

তাঁরা আরো বলেন, বাংলাদেশ এর পাটশিল্পকে সুকৌশলে শেষ করে দেওয়ার পর অপার সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পকে শেষ করে দেওয়ার বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন বক্তারা। বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়াশিল্প। দেশে ও বিশ্ববাজারে  চামড়াজাত পণ্যের দাম  আকাশচুম্বী অথচ কোরবানির চামড়া শিল্প নিয়ে সুগভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ১৬ বছরের   ফ্যাসিস্ট এর দোসর অপরাধী সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

চামড়া শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র রুখতে হবে : মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান

Update Time : ০১:১৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট এর আমলের পুরনো চক্রও সিন্ডিকেট   আরো বেশী সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের সোনালী আঁশ খ্যাত পাট-শিল্পের ( আদমজী  জুটমিল) ধ্বংসের বিদেশি চক্রান্ত  একরকম  সফল হওয়ার পর অপার সম্ভাবনা ময়  চামড়া শিল্পের ধ্বংসের দেশী- বিদেশি চক্রান্ত একরকম সফল হওয়ার পথে। চামড়া সিন্ডিকেট কৌশলে দরপতন ঘটিয়ে এবারের কোরবানির চামড়ার বাজার ধ্বংস করছে। এতে করে গরিব-অসহায় মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।গত বছরের মতো এবারও কম দামে সব ধরনের চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে ।

আজ ১২ জুন বেলা ১১ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান মানববন্ধন ও সমাবেশে একথা বলেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন এর আহবায়ক সাবেক সহকারী কর কমিশনার মীর্জা শরিফুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন গবেষক ও কলামিস্ট লায়ন মীর আবদুল আলীম, বক্তব্য রাখেন রাজনীতিবিদ লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, রাজনীতিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মিজানুর রহমান  মিজু, মোস্তাক আহমেদ ভাসানী প্রমূখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতি বর্গফুট গরুর চমড়ার দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও চামড়া বিক্রি হয়েছে গতবারের মতোই ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে। কোরবানিদাতাদের থেকে তারা সর্বোচ্চ ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন এবং ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সংগ্রহ করে চামড়ার ন্যায্য দাম মিলছে না। সিন্ডিকেটের কারণে পড়ে গেছে চামড়ার দাম। দাম নিয়ে চলছে অন্তরালের খেলা।  ভূরাজনৈতিক এ খেলা বন্ধ  করতে হবে। দেশে এবার বিপুলসংখ্যক পশু জবাই হলেও নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা। আবার প্রতিবছরের মতো এবারও বেশির ভাগ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে।

তাঁরা আরো বলেন, বাংলাদেশ এর পাটশিল্পকে সুকৌশলে শেষ করে দেওয়ার পর অপার সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পকে শেষ করে দেওয়ার বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন বক্তারা। বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়াশিল্প। দেশে ও বিশ্ববাজারে  চামড়াজাত পণ্যের দাম  আকাশচুম্বী অথচ কোরবানির চামড়া শিল্প নিয়ে সুগভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ১৬ বছরের   ফ্যাসিস্ট এর দোসর অপরাধী সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)