মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি : ২৭/০৪/২০২৫ ইং তারিখে সাংবাদিক সাহাবুদ্দিন ও কৃষক ইউসুফের আক্রমনে চরফ্যাসন উপজেলার পত্রিকার হকার ও সর্বজন পরিচিত মোঃ রাজিব আহত। ঘটনা নিয়ে রাজিব ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহানের মোবাইলে মৌখিক অভিযোগ করার উক্তি স্বীকার করেছে। জেলা প্রশাসক চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসনা শারমিন মিথিকে বিষয়টি জানানোর কারনে রাজিব উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নিকট লিখিত অভিযোগ করার সুযোগ পায়। রাজিবের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার চরফ্যাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপর ন্যস্ত করেন। রাজিব উক্ত অভিযোগ চরফ্যাসন থানায় জমা দেয়। চরফ্যাসন থানার সেকেন্ড অফিসার অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে আছেন। রাজিবের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, সে প্রতিবন্ধী তাই সে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে পত্রিকার হকারি করে। তাতে চরফ্যাসন বাজারের দুলাল গার্মেন্টসে প্রতি মাসেই তার কালেকশন আটকা পড়ে। তাই ১৭/০৪/২০২৫ ইং তারিখে সে তার পত্রিকার মাসিক বিল কালেকশনের জন্য দুলাল গার্মেন্টসে হাজির হয়। সেখানে উপস্থিত থাকা সাংবাদিক সাহাবুদ্দিন সিকদার বা শ্বেতী সাহাবুদ্দিন ও কৃষক ইউসুফ রাজিবের নিকট চাঁদার দাবীতে রাজিবকে মারধর করে। তাতে রাজিব আহত হয়। রাজিবের নিকট সাহাবুদ্দিন আরো দাবী করেছে যে, সে (সাংবাদিক সাহাবুদ্দিন সিকদার) যুবদলের নেতা। রাজিব তার (সাহাবুদ্দিনের) হাল চাল-চিত্রের এই স্ব-ঘোষিত যুবদলের নেতা মানতে রাজি নয়। রাজিবের দাবী হলো সাহাবুদ্দিন সাংবাদিকও নয়। যুবদলের নেতাও নয়। বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ আমলে সাহাবুদ্দিন আর না হলেও পনের বার আওয়ামীলীগের জ্যাকব এমপির গলায় মালা দিয়েছে। তাই সে কিভাবে যুবদলের নেতা হয়। সে যুবদলের নেতা নয়। রাজিবের এই প্রতিবাদী আচরনে বহু সাংবাদিক রাজিবকে ধন্যবাদ জানানোর খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে রাজিব মানসিক অনুশোচনারও দাবী করেছে।

শ্বেতী সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে রাজিবের হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া অভিযোগ হলো সাহাবুদ্দিন বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়। আর বিভিন্ন সাংবাদিক রাজিবকে টাকা দেয়। ঐ সাহাবুদ্দিন রাজিবকে খুন করারও হুমকি দিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগের কথা শুনা যায়। তাই রাজিব আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে। অন্যদিকে সাংবাদিকতার বিধি-বিধান অনুযায়ী সাহাবুদ্দিন সিকদার একজন প্রাইমারী জুনিয়র সাংবাদিক। সে সাংবাদিকতার সকল নিয়ম-কানুন জানে কিনা তার কোন খোঁজ-খবর পাওয়া যায় নাই। তবে চেয়ারম্যান বাজারের নিকটে বাড়ির ঠিকানার সাহাবুদ্দিন হাওলাদাদার সম্পর্কে যতদূর জানা গেল যে, সে এখনো সাংবাদিকতার অনেক বিধি-বিধান-ই জানে না। শশীভূষণ এলাকার এক দোকানে সে চাঁদাবাজিতে অভিযুক্ত হওয়ার খবর রটেছে। শশীভূশন থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক সেই সাহাবুদ্দিনের নামে মামলাও করেছিল। এবং তার অফিসিয়াল অসদাচরনের কারনে, শশীভূষণ থানার নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সাংবাদিকতার আইন লংঘন দোষের আচরন পেয়ে সাহাবুদ্দিনকে থানা থেকে বের করে দেওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছিল। সেই সাহাবুদ্দিন হাওলাদার সাংবাদিক আরেক সাংবাদিকের গুপ্ত সন্তানের বিরুদ্ধে খুনের মামলা তৈরির ফন্দি করারও হীনমানসিকতা পাওয়া গিয়েছিল। তবে রাজিবের বিরুদ্ধে সাংবাদিক শ্বেতি সাহাবুদ্দিন না সাংবাদিক হাওলাদার সাহাবুদ্দিন তার খোঁজ-খবর এখনো পাওয়া যায় নাই। তবে সাংবাদিকের এহেন অসদআচরণ নিবারনের জন্য সাংবাদিক নির্দেশনা রয়েছে। উক্ত উভয় (শ্বেতী সাহাবুদ্দিন ও হাওলাদার সাহাবুদ্দিন) সাংবাদিকগণ কেন দেশের পূর্ণাঙ্গ সাংবাদিক আইন মেনে চলে না, তা এখনো জানা যায় নাই। তাই রাজিবের দাবী মোতাবেক তারা যদি ন-সাংবাদিক হয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়। বস্তুত: সত্য এই যে, উক্ত উভয় সাংবাদিকের নামেই ইতিপূর্বে খবর প্রকাশ হয়েছে। সেই হিসেবে রাজিবের অভিযোগ নিষ্পত্তি স্থান হলো বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। তবে প্লেস অফ অকারেন্স দুলাল গার্মেন্টস সাংবাদিক দাঁড়ানোর বা অবস্থান নেওয়ার কোন স্থান নয়। সাংবাদিকের সঙ্গ নেওয়া ইউসুফ কৃষক— কেন রাজিবের বিরুদ্ধে— প্রশ্ন চলমান। ছবিতে – পত্রিকার হকার রাজিব বা সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্ট আইন মোতাবেক সাংবাদিক রাজিব।