০৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী ও ছাত্রলীগের হামলায় মাজলুমের ডাক সংগঠনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  • Update Time : ১০:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • / ২৩৬ Time View

 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের দফায়-দফায় বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাজলুমের ডাক সংগঠনের সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম, নির্বহী সভাপতি গীরজাদা সৈয়দ মোঃ আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার আনসারী আজ (১৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, এই ন্যাক্কারজনক হামলা গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন। এদেশে ফ্যাসিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলাই এখন সময়ের দাবি। বিবৃতিতে বলা হয়,

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পলায়ন করতে বাধ্য হয়। কিন্তু আজ সেই পতিত স্বৈরাচারের মদদপুষ্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এনসিপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, সরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আহত করার ঘটনা প্রমাণ করে যে তারা আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করে তৃতীয়পক্ষের ইশারায় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ত ও ব্যর্থ ভূমিকা গভীর উদ্বেগজনক এবং প্রশ্নবিদ্ধ।

তাদের দায়িত্ব ছিল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সুরক্ষিত রাখা—কিন্তু তারা তা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নেতৃদ্বয় আরও বলেন, জাতির ভবিষ্যৎ রক্ষায় এখন প্রয়োজন দুর্বার গণপ্রতিরোধ। যারা দেশের মাটি রক্তাক্ত করছে, মানুষের মৌলিক অধিকারকে গলা টিপে হত্যা করছে—তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া বিকল্প নেই। তারা অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের সন্ত্রাস করার সাহস না পায়। একইসঙ্গে গোপালগঞ্জে আহত এনসিপির নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তারা আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও শান্তি রক্ষায় দল-মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রোধে এখনই তাদের মূলোৎপাটন প্রয়োজন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী ও ছাত্রলীগের হামলায় মাজলুমের ডাক সংগঠনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

Update Time : ১০:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের দফায়-দফায় বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাজলুমের ডাক সংগঠনের সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম, নির্বহী সভাপতি গীরজাদা সৈয়দ মোঃ আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার আনসারী আজ (১৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, এই ন্যাক্কারজনক হামলা গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন। এদেশে ফ্যাসিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলাই এখন সময়ের দাবি। বিবৃতিতে বলা হয়,

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পলায়ন করতে বাধ্য হয়। কিন্তু আজ সেই পতিত স্বৈরাচারের মদদপুষ্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এনসিপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, সরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আহত করার ঘটনা প্রমাণ করে যে তারা আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করে তৃতীয়পক্ষের ইশারায় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ত ও ব্যর্থ ভূমিকা গভীর উদ্বেগজনক এবং প্রশ্নবিদ্ধ।

তাদের দায়িত্ব ছিল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সুরক্ষিত রাখা—কিন্তু তারা তা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নেতৃদ্বয় আরও বলেন, জাতির ভবিষ্যৎ রক্ষায় এখন প্রয়োজন দুর্বার গণপ্রতিরোধ। যারা দেশের মাটি রক্তাক্ত করছে, মানুষের মৌলিক অধিকারকে গলা টিপে হত্যা করছে—তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া বিকল্প নেই। তারা অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের সন্ত্রাস করার সাহস না পায়। একইসঙ্গে গোপালগঞ্জে আহত এনসিপির নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তারা আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও শান্তি রক্ষায় দল-মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রোধে এখনই তাদের মূলোৎপাটন প্রয়োজন।