১০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গোদাগাড়ী উপজেলায় ফারুক চৌধুরীর ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মোঃ আব্দুর রশিদ বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে গ্রেফতারে আবেদন এলাকাবাসীর
Reporter Name
- Update Time : ০৪:০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
- / ২৮৫ Time View

রাজশাহী ক্রাইম রিপোর্টার:
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার,৭নং দেওপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ
এবং গোদাগাড়ী ৭ নং দেওপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক , একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এ জনপ্রতিনিধির দাপটে এলাকার সাধারণ জনগণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভীত-সন্ত্রস্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে একতরফাভাবে ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান ও অবাধ অনিয়মের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করান এমপি ফারুক চৌধুরীকে। তার এই বিজয় আব্দুর রশিদ প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উপেক্ষা করে এমন পন্থায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি এখনও এলাকাবাসীর মনে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি করে রেখেছে।
তথ্যসূত্র বলছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের সময় আব্দুর রশিদ নিজের অবস্থান রক্ষায় অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন এবং ভয়ভীতি সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে ছাত্র আন্দোলনের সময় তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে এসব কর্মকাণ্ড তিনি নির্ভয়ে চালিয়ে গেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
আওয়ামী লীগের সময় বহুল আলোচিত রাজাবাড়ি হাট ভোটকেন্দ্র দখল, বিএনপির অফিসে আগুন লাগানো ও লুটপাটের মতো ঘটনাতেও আব্দুর রশিদ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি নিজেকে ইউনিয়নের মালিক বলে দাবি করেন এবং প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলেও তার প্রভাব রয়েছে বলে দাবি করেন।
বিশেষ সুত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সকল নেতারা পালিয়ে গেলে গা ঢাকা দিলেও আব্দুর রশিদ এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং গোপনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ,
অবাক করার মতো বিষয় হলো—বিভিন্ন অপরাধ ও অনিয়মের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তার নামে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। বরং স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী বিএনপি নেতার সহায়তায় এই পরিস্থিতিকে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী হিসেবে দেখছেন সচেতন নাগরিকরা।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে নিজের বাড়িতে কেক কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন গোপনে পালন করেন আব্দুর রশিদ। স্থানীয়রা এই আচরণকেও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কৌশল হিসেবে দেখছেন।
জনগণের প্রশ্ন—এমন বিতর্কিত, দুর্নীতিগ্রস্ত এবং আগ্রাসী মনোভাবের একজন ব্যক্তি কিভাবে এখনো এলাকায় বহাল থাকতে পারেন? স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে এই বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সচেতন নাগরিকদের ভাষায় সুশাসন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে এমন ব্যক্তিকে জনপ্রতিনিধির পদ থেকে অপসারণ করা উচিত। না হলে এটি আমাদের গণতন্ত্র ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের ওপর আস্থা নষ্ট করবে।
Tag :



















