গোদাগাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার দাপট: একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েও জামিনে মুক্ত, এলাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে
- Update Time : ০৮:০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
- / ৫২০ Time View
স্টাফ রিপোর্টার: মো:আতিকুর রহমান:
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সেলিম রেজার দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে এলাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে উঠেছে। একাধিকবার গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রতিবারই জামিনে বের হয়ে এসে পুনরায় একই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি (২৩ জুলাই) রাতে গোগ্রাম ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কিছুদিন পরেই তিনি জামিনে মুক্তি পান। ফলে এলাকায় আবারও উত্তেজনা ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেলিম রেজা গোগ্রাম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রানীনগর গ্রামের মৃত একরাম আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদের ব্যক্তিগত চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময় থেকেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেলিম রেজা রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের জমি দখল, টেন্ডারবাজি, চাঁদা আদায় ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ গড়ে তুলেছেন। তাঁর এসব কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।
রানীনগর গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, “আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, এই দখলবাজ ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সে জামিনে বেরিয়ে আসলেই এলাকায় আবার অশান্তি শুরু হয়। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই, ভয় নিয়ে নয়।”
এলাকাবাসীর দাবি, সেলিম রেজার বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে তাঁকে আইনের আওতায় আনা উচিত। তাঁরা আশা করছেন, প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নেবে, যাতে এই ধরনের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আর সাধারণ মানুষের উপর অন্যায়ভাবে দাপট দেখাতে না পারে।
















