০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

গাজা সহ তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার

Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩০ Time View

 

 ০১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ রাত্রী -০০.৩০ ঘটিকায় নওগাঁ জেলার মান্দা থানাধীন চক গোপাল ফকিরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী আসামি ১। মোঃ আশাদ খাঁ (২১), পিতা-মোঃ এনায়েত খাঁ, মাতা-মোসাঃ লেবিনা বেগম, সাং-শিরোইল, থানা-বোয়ালিয়া, ২। মোঃ মেহেদী হাসান (২৪), পিতা-মৃত পালু মন্ডল, ৩। মোছাঃ সাবিনা বেগম (৪০), পিতা-মৃত পলান, স্বামী-মৃত পালু মন্ডল, উভয় সাং-মিরকামারী পশ্চিমপাড়া, থানা-কাটাখালী, সর্ব রাজশাহী মহানগরকে গ্রেফতার করে এবং জব্দকৃত আলামত অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা-৫৩ কেজি ৮৫০ গ্রাম, মোবাইল-০৩ টি, সীম-০৩ টি উদ্ধার করে।
২। র‍্যাব-৫ সিপিএসসি, রাজশাহী এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী এলাকায় জনৈকা জেসমিন ওরফে বিবিজান নামক এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ী দেশের বিচ্ছিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজার চালান নিয়ে এসে রাজশাহী মহানগরীতে বিক্রয় করে আসছে। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে গাঁজা আনা-নেয়া, বিক্রয় ও লেনদেন করে থাকেন। পরবর্তীতে র‍্যাবের গোয়েন্দা দল উক্ত আসামিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষন করে এবং উক্ত তারিখ রাতে একটি আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে এবং তাদের বসতবাড়ীর মধ্যে নিজ শয়ন কক্ষের খাটের নীচে কার্টুনের ভিতরে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ৫৩ কেজি ৮৫০ গ্রাম অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা উদ্ধার করে।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, এই গাঁজার মালিক জেসমিন ওরফে বিবিজান। তাদের মাধ্যমে গাঁজা ডেলীভারী করানো হতো। পরবর্তীতে জেসমিন এর বাড়ি তল্লাশি করা হলেও সে সুকৌশলে পলায়ন করতে সক্ষম হয়। জেসমিন এর বিরুদ্ধেও পলাতক মামলা রুজু করা হয়।
81 গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সীমান্তবর্তী এলাকা হতে বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় স্বল্প মূল্যে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ক্রয় করে রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অধিক দামে সরবরাহ/বিক্রয় করে থাকে।
উক্ত ধৃত আসামিগন ও পলাতক আসামির বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানায় মাদক আইনে একটি নিয়মিত ৫। মামলা রুজু করা হয়েছে।
On Sun, Oct 5, 2025, 5:26 AM obaidul hoque <thedailysarkar@gmail.com> wrote:
On Sat, Oct 4, 2025 at 2:43 PM Ebrahim Hossain Rubel <ebrahimhossainrubel121@gmail.com> wrote:
“বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকা থেকে দ্রুত বাস ধরে ছুটে আসি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এরপর জেলা শহরের বিশ্বরোড মোড়ে নেমে সেখানেই অটোরিকশা করে যায় পদ্মা নদীর ঘাটে। ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গা পদ্মা নদীর ঘাট প্রায় ৩২০ কিলোমিটার পথে বিনা বাধায় ৯ ঘন্টায় চলে আসি। এদিকে, শুধুমাত্র আমার জন্য আটকে আছে বাবার জানাযা। ৩২০ কিলোমিটার পথ পারি দিলেও শুধুমাত্র নদী পার হওয়ার জন্যই আটকে যায় ঘাটে। খেয়াঘাটের মাঝি ও ইজারাদারদের বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নৌকা ছাড়তে রাজি নয়, তারা পরিষ্কার বলে দেয় নৌকা ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত ছাড়বে না। অন্যথায় ৬ হাজার টাকা ভাড়া চাই শুধুমাত্র একজন মানুষ আর একটা ব্যাগের জন্য।”

এমন করুণ দুর্দশার কথা বলছিলেন ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করা সীমান্তবর্তী পদ্মাপাড়ের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারায়ানপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হানিফ আলী।
তিনি বলেন, ঘটনাটি কয়েক মাস আগের। শেষমেষ আমিসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে ৩০ টাকার ভাড়ার দূরত্বের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ২ ঘন্টা। আমার মতোই পদ্মা নদীর ওপারে বসবাস করা প্রায় সবারই এমন অবস্থা। হাজার হাজার মানুষ রীতিমত জিম্মি পদ্মানদীর খেয়াঘাটের ইজারাদারদের কাছে।
জানা যায়, ফারাক্কার ভাটিতে ভারত থেকে আসা অতিরিক্ত পানির প্রভাবে প্রায় দেড় মাস ধরে পানিবন্দি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় ১১ হাজার পরিবার। এরমধ্যে কয়েকদিন পরপর দফায় দফায় পানি কমছে ও বাড়ছে। প্রমত্তা পদ্মায় পানি কমলে বা বাড়লেই নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা যায় তীব্র ভাঙন। এমন পানিবন্দি ও ভাঙনের অবস্থাতে ভারতীয় সীমান্তবর্তী চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নতুন ভোগান্তি পদ্মা নদীতে থাকা খেয়াঘাটগুলো। এসব খেয়াঘাটে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
খেয়াঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে জোরপূবর্ক টোল আদায় করা হচ্ছে। এক কেজি বেগুন, একটি ডাব, কিংবা একটি গাছেরও টোল আদায় করছে তারা। এমনকি চাহিদামতো টোলের টাকা পরিশোধ না করতে পারলে আটকে রাখা হয় মালামাল ও মরদেহ। একদিকে, বার বার বাড়ি ভাঙতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে পদ্মাপাড়ের মানুষ, অপরদিকে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইজারাদারদের গলাকাটা টোল আদায়।
স্থানীয়রা বলছেন, ইজারাদারদের যোগসাজশে নদীতে নৌকার সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ইজারাদার পুনরায় ইজারা দেয়। ফলে হাতবদল হওয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

গাজা সহ তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার

Update Time : ০২:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

 

 ০১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ রাত্রী -০০.৩০ ঘটিকায় নওগাঁ জেলার মান্দা থানাধীন চক গোপাল ফকিরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী আসামি ১। মোঃ আশাদ খাঁ (২১), পিতা-মোঃ এনায়েত খাঁ, মাতা-মোসাঃ লেবিনা বেগম, সাং-শিরোইল, থানা-বোয়ালিয়া, ২। মোঃ মেহেদী হাসান (২৪), পিতা-মৃত পালু মন্ডল, ৩। মোছাঃ সাবিনা বেগম (৪০), পিতা-মৃত পলান, স্বামী-মৃত পালু মন্ডল, উভয় সাং-মিরকামারী পশ্চিমপাড়া, থানা-কাটাখালী, সর্ব রাজশাহী মহানগরকে গ্রেফতার করে এবং জব্দকৃত আলামত অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা-৫৩ কেজি ৮৫০ গ্রাম, মোবাইল-০৩ টি, সীম-০৩ টি উদ্ধার করে।
২। র‍্যাব-৫ সিপিএসসি, রাজশাহী এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী এলাকায় জনৈকা জেসমিন ওরফে বিবিজান নামক এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ী দেশের বিচ্ছিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজার চালান নিয়ে এসে রাজশাহী মহানগরীতে বিক্রয় করে আসছে। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে গাঁজা আনা-নেয়া, বিক্রয় ও লেনদেন করে থাকেন। পরবর্তীতে র‍্যাবের গোয়েন্দা দল উক্ত আসামিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষন করে এবং উক্ত তারিখ রাতে একটি আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে এবং তাদের বসতবাড়ীর মধ্যে নিজ শয়ন কক্ষের খাটের নীচে কার্টুনের ভিতরে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ৫৩ কেজি ৮৫০ গ্রাম অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা উদ্ধার করে।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, এই গাঁজার মালিক জেসমিন ওরফে বিবিজান। তাদের মাধ্যমে গাঁজা ডেলীভারী করানো হতো। পরবর্তীতে জেসমিন এর বাড়ি তল্লাশি করা হলেও সে সুকৌশলে পলায়ন করতে সক্ষম হয়। জেসমিন এর বিরুদ্ধেও পলাতক মামলা রুজু করা হয়।
81 গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সীমান্তবর্তী এলাকা হতে বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় স্বল্প মূল্যে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ক্রয় করে রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অধিক দামে সরবরাহ/বিক্রয় করে থাকে।
উক্ত ধৃত আসামিগন ও পলাতক আসামির বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানায় মাদক আইনে একটি নিয়মিত ৫। মামলা রুজু করা হয়েছে।
On Sun, Oct 5, 2025, 5:26 AM obaidul hoque <thedailysarkar@gmail.com> wrote:
On Sat, Oct 4, 2025 at 2:43 PM Ebrahim Hossain Rubel <ebrahimhossainrubel121@gmail.com> wrote:
“বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকা থেকে দ্রুত বাস ধরে ছুটে আসি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এরপর জেলা শহরের বিশ্বরোড মোড়ে নেমে সেখানেই অটোরিকশা করে যায় পদ্মা নদীর ঘাটে। ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গা পদ্মা নদীর ঘাট প্রায় ৩২০ কিলোমিটার পথে বিনা বাধায় ৯ ঘন্টায় চলে আসি। এদিকে, শুধুমাত্র আমার জন্য আটকে আছে বাবার জানাযা। ৩২০ কিলোমিটার পথ পারি দিলেও শুধুমাত্র নদী পার হওয়ার জন্যই আটকে যায় ঘাটে। খেয়াঘাটের মাঝি ও ইজারাদারদের বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নৌকা ছাড়তে রাজি নয়, তারা পরিষ্কার বলে দেয় নৌকা ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত ছাড়বে না। অন্যথায় ৬ হাজার টাকা ভাড়া চাই শুধুমাত্র একজন মানুষ আর একটা ব্যাগের জন্য।”

এমন করুণ দুর্দশার কথা বলছিলেন ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করা সীমান্তবর্তী পদ্মাপাড়ের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারায়ানপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হানিফ আলী।
তিনি বলেন, ঘটনাটি কয়েক মাস আগের। শেষমেষ আমিসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে ৩০ টাকার ভাড়ার দূরত্বের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ২ ঘন্টা। আমার মতোই পদ্মা নদীর ওপারে বসবাস করা প্রায় সবারই এমন অবস্থা। হাজার হাজার মানুষ রীতিমত জিম্মি পদ্মানদীর খেয়াঘাটের ইজারাদারদের কাছে।
জানা যায়, ফারাক্কার ভাটিতে ভারত থেকে আসা অতিরিক্ত পানির প্রভাবে প্রায় দেড় মাস ধরে পানিবন্দি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় ১১ হাজার পরিবার। এরমধ্যে কয়েকদিন পরপর দফায় দফায় পানি কমছে ও বাড়ছে। প্রমত্তা পদ্মায় পানি কমলে বা বাড়লেই নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা যায় তীব্র ভাঙন। এমন পানিবন্দি ও ভাঙনের অবস্থাতে ভারতীয় সীমান্তবর্তী চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নতুন ভোগান্তি পদ্মা নদীতে থাকা খেয়াঘাটগুলো। এসব খেয়াঘাটে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
খেয়াঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে জোরপূবর্ক টোল আদায় করা হচ্ছে। এক কেজি বেগুন, একটি ডাব, কিংবা একটি গাছেরও টোল আদায় করছে তারা। এমনকি চাহিদামতো টোলের টাকা পরিশোধ না করতে পারলে আটকে রাখা হয় মালামাল ও মরদেহ। একদিকে, বার বার বাড়ি ভাঙতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে পদ্মাপাড়ের মানুষ, অপরদিকে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইজারাদারদের গলাকাটা টোল আদায়।
স্থানীয়রা বলছেন, ইজারাদারদের যোগসাজশে নদীতে নৌকার সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ইজারাদার পুনরায় ইজারা দেয়। ফলে হাতবদল হওয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়।