কালীগঞ্জে গণহত্যা দিবসে শহীদ স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা

- Update Time : ০৩:০০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
- / ১১৬ Time View
Sonali Shop – online shop in Bangladesh
বিল্লাল হোসেন , কালীগঞ্জ( গাজীপুর) প্রতিনিধি:– যথাযোগ্য মর্যাদায় গাজীপুরের কালীগঞ্জে গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৫ মার্চ মঙ্গলবার সকাল দশটায় কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাছলিম এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মাস্টার, কালিগঞ্জ থানা বিএনপি’র সভাপতি হুমায়ুন মাস্টার, কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জমোঃ আলাউদ্দিন, কালীগঞ্জ থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নোমান সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, সহকারী কমিশনার (ভূমি ) নূরী তাসমিন উর্মি সহ উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী। আলোচনা সভায় সভাপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ২৫ মার্চ রাতের গণহত্যার ভয়াবহতা ছিলো ভয়ংকর। একটি জাতি সত্তাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার নীল নকশা ছিল এটি। কিন্তু পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর এ অপতৎপরতা সফল হয়নি। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশ এগিয়ে যাবে। বাঙালি জাতি কোনদিন কোন বৈষম্য ,কোন অন্যায় জুলুম সহ্য করে না। পাকিস্তানি বাহিনী যেই বর্বর হত্যাযজ্ঞ ,যেই যেনসাইট সাইট সংগঠিত করেছে সেই রকম ,বিগত সময়ে বাঙালি জাতি বৈষম্য ,নির্যাতন ,অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আবার প্রমাণ করেছে বাঙালি কখনো কারো কাছে মাথা নত করে না। এছাড়া উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সকাল ১১টায় বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ, কালীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আলাউদ্দিন সহ উপজেলার সকল সরকারী অফিসার, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন আহমেদ, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ। বাদ যোহর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে সকল মসজিদ/মন্দির/গীর্জা/ প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে মোনাজাত এবং বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাত ১০:৩০ মিনিটে এক মিনিটের জন্যে (কেপিআই/জরুরী স্থাপনা ব্যতিত) প্রতীকী ব্লাক-আউট করা হবে ।