০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুতদের ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ, পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক
Reporter Name
- Update Time : ১১:২৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
- / ৭৪ Time View

আনিছুর রহমান
নিজস্ব (প্রতিবেদক) চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (IBBL) চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ৪ অক্টোবর ২০২৫ইং তারিখ দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড থানাধীন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের সামনে আকস্মিক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। চাকরিচ্যুতি ও অন্যান্য প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা এই গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেন, যার ফলে উভয় পাশে দ্রুত যানবাহনের দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
আন্দোলনকারীরা মূলত ৬ দফা দাবিতে মহাসড়কের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ ও পুনর্বহাল ওএসডি (OSD) আদেশ প্রত্যাহার অন্যায্য প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের প্রতিকার, আন্দোলনকারীরা তাদের দুর্দশা তুলে ধরে এবং অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধান পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পুলিশ সুপারের বিশেষ নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) এবং অফিসার ইনচার্জ (ওসি), সীতাকুণ্ড মডেল থানা, তাৎক্ষণিকভাবে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ কর্মকর্তারা ধৈর্য ধরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শুরু করেন। তাদের দাবি ও প্রতিবাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে, পুলিশ কর্মকর্তারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং জনস্বার্থ বিঘ্নিত না করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে প্রায় এক ঘণ্টা পর আন্দোলনকারীরা তাদের অবরোধ তুলে নিতে সম্মত হন।

অবরোধ তুলে নেওয়ার পরপরই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয় এবং সৃষ্ট জট ধীরে ধীরে কমে আসে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনস্বার্থ বিঘ্নিত হতে না দেওয়াই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার কৌশল বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
জেলার পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে সকলকে ধৈর্য্য ধারণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই অবরোধ কর্মসূচি একটি সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিবাদের চিত্র তুলে ধরে, যেখানে চাকরি হারানোর ফলে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা থেকে কর্মচারীরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। দেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই ধরনের কর্মসূচি ব্যাংকিং খাতের প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং কর্মচারীদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে।
রাজনৈতিক দিক থেকে দেশের প্রধান মহাসড়ক অবরোধের মতো একটি কঠোর পদক্ষেপ জনজীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। যদিও আন্দোলনকারীরা কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ছিলেন না, তবুও তাদের এই কর্মসূচি বর্তমান অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতির প্রতি জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। পুলিশের দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ সমাধান, এক্ষেত্রে, জনভোগান্তি এড়াতে প্রশাসনের দক্ষতার একটি উদাহরণ তৈরি করেছে।
Tag :

























