ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শান্তি রঞ্জন দাস আজ কোটিপতি !

- Update Time : ০৯:০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৪৯ Time View
তৃতীয় শ্রেণির এই চাকরির ১১তম গ্রেডের সর্বোচ্চ বেতন ৩২ হাজার ২৪০ টাকা। এই
বেতনে চাকরি করেই কোটিপতি তিনি। বাস করেন নরসিংদী পৌরসভার মালাকারের মোড়ে
তার নিজস্ব বিলাসবহুল বহুতল ভবনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ফ্ল্যাটে।
অভিযোগ উঠেছে, এই চাকরি করেই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন শান্তি রঞ্জন দাস ।
আয়ের সঙ্গে নজিরবিহীন এমন বৈসাদৃশ্য থাকা এ ভূমি কর্মকর্তা বর্তমানে নরসিংদী
জেলার রায়পুরা উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের দায়িত্ব ও চাঁনপুর ইউনিয়নের
খন্ডকালীন দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একই উপজেলার আমীরগঞ্জ গ্রামের ছেলে।
জানা গেছে, শান্তি রঞ্জন দাস উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ইউনিয়ন ভূমি উপ-
সহকারী পদে যোগ দেন। পরে জনবলের অভাবে সে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী হিসেবে পদে
কাজ চালিয়ে যান । এরপরই কপাল খুলে যায় এ কর্মকর্তার। আর পেছনে ফিরে তাকাতে
হয়নি। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে জমি খারিজ, খাজনা, নামজারি ও পর্চার কাজে
ঘুস নিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েন তিনি।
ভূমি সহকারী কর্মকর্তার যত সম্পদ সরেজমিনে ও তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, শান্তি
রঞ্জন দাস নরসিংদী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র শিক্ষানগরী মালাকারের মোড়ে কোটি
টাকা মূল্যের জায়গার উপরে বহুতল বাড়ি। বাড়ি তৈরিতে খরচ হয় আরও অন্তত কোটি
টাকার উপরে।
তথ্যানুসন্ধান ও সরেজমিনে ঘুরে আরও জানা যায়, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শান্তি
রঞ্জন দাস শুধু নিজের নামেই নয়, স্ত্রী নামেও বিভিন্ন স্থানে জায়গা-জমি ও ফ্ল্যাট
কিনেছেন। রয়েছে ব্যাংক-ব্যালেন্স ও এফডিআর। ছাড়তে পারেননি ঘুস নেওয়া।
শান্তি রঞ্জন দাস আঙুল ফুলে কলা গাছ হওয়ায় বিস্মিত আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা
। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক স্বজন বলেন, শান্তি রঞ্জন দাস ইউনিয়ন
সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হয়েই ঘুস লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন এবং ফ্যাসিস্ট আমলের
সুযোগে ভারতের চব্বিশ পরগনায় তার নিকট আত্মীয়র কাছে টাকা পাঁচার করে ঐখানে
অনেক সম্পদ খরিদ করেছেন। এসব কারণে অল্প সময়ে কয়েকবার বদলিও হয়েছেন।
বর্তমানে দেশে অন-লাইন ভিত্তিক নামজারী ও ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ কার্যক্রম
চালু হওয়ায় তার ঘুষ আদায়ের পথ আরও প্রশস্থ করেছেন গোবিন্দ। কিন্তু ঘুস
নেওয়ার অভ্যাস আজও ছাড়তে পাড়েননি। গত ১৮ জুলাই দৈনিক সরকার পত্রিকায়
মতামত কলামে শান্তি রঞ্জন দাসের ঘুষ বানিজ্য নিয়ে লেখা হয়েছে, কিন্তু সে
সংবাদকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে অদ্যাবধি ঘুষ আদায়ে নিমজ্জিত।