১২:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

আমি অন্যায় করিনি, পিছু হঠার প্রশ্নই আসে না- ডাঃ ফারজানা মাকসুদ রুনা

Reporter Name
  • Update Time : ১১:২৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / ২০৮ Time View

ডাঃ ফারজানা মাকসুদ রুনা ডিপার্টমেন্ট এর সহকারী অধ্যাপক। আমি বাংলাদেশ মেডিকেল এর ১২তম ব্যাচ এর একজন স্টুডেন্ট এবং বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে গত ১৭ বছর ধরে দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কর্মরত আছি। জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের একজন সম্মুখযোদ্ধা। যখন ফ্যাসিস্ট হাসিনা নিরীহ নিষ্পাপ নারী ও শিশুদের উপর নির্বিচারে গুলি করছিল তখন আমি আমার দুই সন্তানের কথা চিন্তা না করে রাস্তায় নেমে গিয়েছিলাম জীবন বাজি রেখে। ফ্যাসিবাদ হসিনার পতন হলেও ভাগ্যের পরিহাস আবারও এক ফ্যাসিস্ট ডাঃ প্রফেসর মাজহারুল ইসলাম। আমাদের প্রাণের মেডিকেল কলেজ এর গভর্নিং বডি এর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়। তিনি আজকে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য করেন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ এর প্রিন্সিপাল পরিতোষ কুমার ঘোষ, এনাটমি ডিপার্টমেন্ট হেড আব্দুর রশীদ স্যারের মাধ্যমে। তারা আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, কিন্তু তারা যে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই, তারা বক্তব্য যা বলেছেন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এই ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জিবি চেয়ারম্যন এর ছত্রছায়ায় আমি গত অক্টোবর মাস থেকে বিভিন্ন ভাবে কর্মক্ষেত্রে হেনস্থা হচ্ছি এবং আমার ডিপার্টমেট এর এক সহযোগি অধ্যাপক দ্বারা হুমকির শিকার হচ্ছি. কোন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই আমাকে শুধু মাত্র স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমাকে নিয়মবহির্ভূত কারণ দেখিয়ে শোকচ আর তদন্ত কমিটি করে বার বার হেনস্থা করা হয়. কোন প্রমাণ ছাড়া আমাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পাবলিক গ্রুপ এর অ্যাডমিন দেখিয়ে শিক্ষকদের প্রতি অসম্মানিত লেখালেখি করার মিথ্যাচার করা হয় অধ্যক্ষ এবং আমার ডিপার্টমেন্টাল হেড দিয়ে আমাকে নিয়ে যে মিথ্যা বিবৃতি দেন তার প্রতিবাদ করতে আমার সংবাদ সম্মেলন করা আবশ্যক হয়ে পরে।

আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ আমার প্রাণের প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম-সু খ্যাতি আমি সব সময় চাই। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আমি এই প্রতিষ্ঠান থেকে যদি চলেও যাই তবুও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমার দায়িত্ব থেকে এক চুলও নড়বো না। আমার অভিযোগ তাদের প্রতি, যারা আমাকে অন্যায়ভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেছে এবং পর পর দুই বার আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করেছে। আমি আমার বক্তব্য গণমাধ্যমে দিতে বাধ্য হচ্ছি, তা না হলে কেউ কেউ মনে করবে তাদের বক্তব্য সঠিক। নিরুপায় হয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমার প্রাণের প্রিয় প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আমি বিশ্বাস করি তারা আমার দুঃসময়ে আমার পাশে থাকবেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

আমি অন্যায় করিনি, পিছু হঠার প্রশ্নই আসে না- ডাঃ ফারজানা মাকসুদ রুনা

Update Time : ১১:২৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

ডাঃ ফারজানা মাকসুদ রুনা ডিপার্টমেন্ট এর সহকারী অধ্যাপক। আমি বাংলাদেশ মেডিকেল এর ১২তম ব্যাচ এর একজন স্টুডেন্ট এবং বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে গত ১৭ বছর ধরে দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কর্মরত আছি। জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের একজন সম্মুখযোদ্ধা। যখন ফ্যাসিস্ট হাসিনা নিরীহ নিষ্পাপ নারী ও শিশুদের উপর নির্বিচারে গুলি করছিল তখন আমি আমার দুই সন্তানের কথা চিন্তা না করে রাস্তায় নেমে গিয়েছিলাম জীবন বাজি রেখে। ফ্যাসিবাদ হসিনার পতন হলেও ভাগ্যের পরিহাস আবারও এক ফ্যাসিস্ট ডাঃ প্রফেসর মাজহারুল ইসলাম। আমাদের প্রাণের মেডিকেল কলেজ এর গভর্নিং বডি এর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়। তিনি আজকে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য করেন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ এর প্রিন্সিপাল পরিতোষ কুমার ঘোষ, এনাটমি ডিপার্টমেন্ট হেড আব্দুর রশীদ স্যারের মাধ্যমে। তারা আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, কিন্তু তারা যে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই, তারা বক্তব্য যা বলেছেন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এই ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জিবি চেয়ারম্যন এর ছত্রছায়ায় আমি গত অক্টোবর মাস থেকে বিভিন্ন ভাবে কর্মক্ষেত্রে হেনস্থা হচ্ছি এবং আমার ডিপার্টমেট এর এক সহযোগি অধ্যাপক দ্বারা হুমকির শিকার হচ্ছি. কোন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই আমাকে শুধু মাত্র স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমাকে নিয়মবহির্ভূত কারণ দেখিয়ে শোকচ আর তদন্ত কমিটি করে বার বার হেনস্থা করা হয়. কোন প্রমাণ ছাড়া আমাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পাবলিক গ্রুপ এর অ্যাডমিন দেখিয়ে শিক্ষকদের প্রতি অসম্মানিত লেখালেখি করার মিথ্যাচার করা হয় অধ্যক্ষ এবং আমার ডিপার্টমেন্টাল হেড দিয়ে আমাকে নিয়ে যে মিথ্যা বিবৃতি দেন তার প্রতিবাদ করতে আমার সংবাদ সম্মেলন করা আবশ্যক হয়ে পরে।

আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ আমার প্রাণের প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম-সু খ্যাতি আমি সব সময় চাই। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আমি এই প্রতিষ্ঠান থেকে যদি চলেও যাই তবুও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমার দায়িত্ব থেকে এক চুলও নড়বো না। আমার অভিযোগ তাদের প্রতি, যারা আমাকে অন্যায়ভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেছে এবং পর পর দুই বার আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করেছে। আমি আমার বক্তব্য গণমাধ্যমে দিতে বাধ্য হচ্ছি, তা না হলে কেউ কেউ মনে করবে তাদের বক্তব্য সঠিক। নিরুপায় হয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমার প্রাণের প্রিয় প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আমি বিশ্বাস করি তারা আমার দুঃসময়ে আমার পাশে থাকবেন।