আদর্শ জনপ্রশাসন গড়ার প্রচেষ্টায় পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক

- Update Time : ০৪:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
- / ২০৪ Time View
পঞ্চগড় প্রতিনিধি ,মোখলেছুর রহমান চৌধূরী:পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক যোগদানের পর থেকেই জেলা প্রশাসনকে স্বচ্ছ,দূর্ণীতি মুক্ত এবং জনবান্ধব প্রশাসন হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে দিন-রাত জীবন কে বিসর্জন দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।তাঁর আগমনের পর পরই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে মতবিনিময় কালে দেখা গেছে নির্ভীক,নিরঅহংকার,আদর্শবান,সদালাপী এই মানুষটির মনে সার্বক্ষণিক নানান স্বপ্ন ও উদ্ভাবনী ভাবনা যাহা তিনি নিজের পবীত্র হাত দ্বারা বাস্তবায়ন করার জন্য বদ্ধ পরিকর।সরকারের সকল এজেন্ডা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সমাজের আপামর মানুষের স্বার্বিক কল্যানে নিরন্তর ব্যাস্ত থাকেন এই সম্মানীত জেলা প্রশাসক মোঃসাবেত আলী মহোদ্বয়।ইতি মধ্যে তিনি ও তাঁর টিম সমগ্র পঞ্চগড় জেলার পাঁচটি উপজেলা ও উনচল্লিশটি ইউনিয়নের সকল শ্রেনীর মানুষের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করা সহ সমগ্র জেলায় ব্যাপক সূনান অর্জন করেছেন।জেলার সকল সেবা গ্রহীতাগন জেলা প্রশাসনের কোন সেবা পেতে বিলম্বিত হলে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন জেলা প্রশাসকের মোবাইল নম্বরে।এতক্ষন ধরে বলেছিলাম পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোঃসাবের আলীর কথা।পৃথিবীতে কর্মগুনে কিছু মহান মানুষ জনমনে স্থান করে নিয়েছেন।তেমনি একজন পঞ্চগড় জেলার আশা ভরঁসা জেলা প্রশাসক ও জেলা বিজ্ঞ ম্যাজিস্টেট জনাব সাবেত আলী মহোদ্বয়।প্রশাসনের কাজে তিনি যেমনি দক্ষ তেমনী একজন মানবিক ব্যাক্তিও তিনি খুব কম সময় ধরে পঞ্চগড়ে আসলেও অত্র জেলার সকল মানুষের জন্য তিনি অনেক পরিকল্পনা নিয়ে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন।তিনি আসার পর তাঁর মানবিক মূল্যবোধ এবং কর্মদক্ষতায় পঞ্চগড় বাসী মুগ্ধ।বিশেষ করে তাঁর দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা পঞ্চগড় জেলার পর্যটন খাতকে পরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।তাঁর নতুন নতুন চিন্তা ও পরিকল্পনা পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনকে দাড় করিয়েছে এক নতুন মাত্রায়।জানাযায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মকালিন সময়েও তিনি তাঁর জনবান্ধব এবং উদ্ভাবনী কাজের করনে দুইবার জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ (ইউএনও)বিভাগগীয় পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ (ইউএনও )এবং জাতীয় পর্যায়েও দেশের শ্রেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাইযেন (কঅওতঊখ)রোল মডেল এওয়ার্ডে ভূসিত হয়েছিলেন।তিনি আইন এবং নিয়ম নিতি মেনে চলতেই অভ্যাস্ত।কোন অন্যায়ের সাথে তাঁর আপোষ নাই।কারন তিনি আসার পর এ সিমান্ত জেলার অবৈধ বালুমহল,পাথর উত্তোলন,অবৈধ ভূমি দখল,নারী নির্যাতন,শিশু পাচার,বহু বিবাহ,ইফটিজিং,চাঁদাবাজ,চুড়ি,ডাকাতী,অবৈধ স্থাপনা,মাদক সহ সকল অন্যায় অপরাধ বন্দের পথে।তিনি এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে শত সহস্র শহীতদের রক্তের বিনিময়ে এবং অসংখ্য মানুষের অঙ্গ হানির মধ্য দিয়ে সংগটিত হয় জুলাই বিপ্লব দুই হাজার চব্বিশ।একটি জনসেবা ধর্মী,কল্যান কামী এবং জনবান্ধব জনপ্রশাসন তৈরীর লক্ষে সেপ্টেম্বর মাসে দেশব্যাপী নতুন ভাবে জেলা প্রশাসক পদায়নের কাজ শুরু করে বর্তমান অন্তরবর্তীকালিন সরকার।এরই ধারা বাহিকতায় গত বারোই দুই হাজার চব্বিশ হতে জেলা প্রশাসক,পঞ্চগড়ে তাঁর প্রতিটি কর্মকান্ডে জনগনকে সম্পৃক্ত করে সাজাতে শুরু করে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা এবং জনগনকে সম্পৃক্ত করে বাস্তবায়ন করতে থাকে।একের পর এক উন্নয়ন কার্যক্রম।গৎ বাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে চিন্তার সংস্কার করে সৃজনশীল উপায়ে জন স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে জেলা প্রশাসন,পঞ্চগড়ের কার্যক্রম।জনবান্ধব প্রশাসন গড়ার অভিপ্রায়ে জেলা প্রশাসন পঞ্চগড়ের কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিচে তুলে ধরা হলঃবিভিন্ন শ্রনী পেশার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রনোয়নঃজেলা প্রশাসক মোঃসাবেত আলী বারোই সেপ্টেম্বর দুই হাজার চব্বিশ পঞ্চগড় জেলায় যোগদানের দুই সপ্তাহের মধ্যে অত্র জেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের (ছাত্র,ছাত্রী,সাংবাদিক,আইন জীবী,সামাজিক সংগঠক,জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিতিতে পঞ্চগড় জেলা উন্নয়নের সমস্য ও সম্ভাবনা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে দুইদিন ব্যাপী বিশাল কর্মশালার আয়োজন করেন।উক্ত কর্মশালার মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলার প্রধান প্রধান সমস্যা এবং সম্ভাবনা গুলো প্রথমেই চিহ্নিত করা হয়।অতপর এসব সমস্যার পিছনের কারন এবং সম্ভাব্য সমাধানের ধারনা বের করা হয়। অপরদিকে পঞ্চগড়ের রেল ষ্টেশনে যাত্রীগনের জায়গাগুলো চিহ্নিত না থাকার কারনে যাত্রীগন ষ্টেশনে পৌছে প্রায়ই বিড়ম্বনার শিকার হন।যাত্রীগন প্লাটফর্মে পৌছেই তার কাঙ্খিত বগির অবস্থান জানার জন্য বিভিন্ন ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসা করতে থাকেন এবং অনেক সময় ট্রেন মিস করে ফেলেন।যাত্রীদের চরম ভোগান্তি দূর করার জন্য জেলা প্রশাসন পঞ্চগড়ের পক্ষ থেকে ট্রেনের বগি দাড়ানোর নির্দিষ্ট স্থানগুলো বগির নম্বর ক,খ,গ,—-ইত্যাদী দাড়া চিহ্নিত করা হয়েছে।এর ফলে এখন কোন যাত্রী ষ্টেশনে পৌছে কাউকে জিজ্ঞেস না করেই তাঁর কাঙ্খিত বগির জায়গায় পৌছে যেতে পারেন।রেল ষ্টেশনের সৌন্ধর্য বৃদ্ধিতে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা এবং আকর্ষনীয় ফুলের বাগান সৃজন করা হয়েছে।জেলা প্রশাসক জানান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ জেলায় আগত পর্যটকরা ষ্টেশন থেকে বের হয়েই যেন একটি সুন্দর ভিউ পান এবং এ জেলা থেকে একটি ভালো ধারনা তৈরী হয় সে উদ্দেশ্যই এই বাগান এবং ফোয়ারাটি তৈরী করা হয়েছে।ইতিমধ্যে এ ফোয়ারাটির সৈন্ধর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন এখানে অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটছে।এছাড়াও জেলা প্রশাসকের সাথে কোন বিশেষ প্রয়োজনে দেখা করতে চেয়ে সূযোগ পাওয়া যায়নি এঘটনা বিরল।তাঁর অফিস কক্ষে গেলেই দেখা যায়।প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নানাবিধ সমস্যা জনিত নারী -পুরুষের উপছে পড়া ভীড় দেখা যায়।সকল সমস্য সমাধান করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক।কেউ জমাজমি সমস্যা,কেউ চিকিৎসা জনিত সমস্যা জন্য সাহায্যর প্রত্যাশায়,কেউ কেউ ভূমিহীন সরকারি বাড়ির জন্য,কেউ ছেলে-মেয়ে পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য,কেউ এসেছেন মসজিদ,মাদ্রাসা ও মন্দির নির্মান কাজে আর্থিক সহায়তার জন্য,কেউ মেয়ে বিবাহ অনুষ্ঠানের খরচের টাকার জন্য আবার কেউ এসেছেন কর্মসংস্থানের সূযোগ পাবার আশায়।
অসিম ধৈয্য নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদ্বয় সাক্ষাৎ প্রত্যাশী এসব মানুষের কুশলাদী জিজ্ঞাসা করে তাদের সমস্যা বা দূর্ভোগের কার্যকর সমাধানে যথা সাধ্য চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত।শিক্ষার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে শিল্প সাহিত্য এবং শিক্ষা সুমার বৃত্তির চর্চায় পঞ্চগড় কে বাংলাদেশের একটি অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় জেলায় পরিনত করতে চায় তিনি।জনাব মোঃসাবেত আলী দুই হাজার চব্বিশ সালের বারোই সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় জেলার সম্মানীত জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন।এপদে যোগদানের পূর্বে তিনি উপসচিব হিসেবে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে কর্মরত ছিলেন।তিনি বিসিএস (প্রশাসন)ক্যাডারের চব্বিশতম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।তিনি ঢাকা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।দুই হাজার পাঁচ সালে ফরিদ পূর জেলায় সহকারী কমিশনার এবং ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।বর্তমানে পঞ্চগড় বাসির মনে ভরশাঁর জায়গা করে নিয়েছে সম্মানীত জেলা প্রশাসক। জানান সমগ্র পঞ্চগড় বাসী
I also conceive thus, perfectly indited post! .