০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

নোয়াখালীর অলিগলিতে এখন উৎসবের ঢেউ!  ৬ আসনেই প্রার্থী ঘোষণায় বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কর্মীদের আনন্দের জোয়ার

Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৫৫:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৬ Time View

Oplus_131072

মোহাম্মাদ হানিফ, নোয়াখালী  প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নোয়াখালীর ছয়টি আসনেই একক প্রার্থী ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই যেন পুরো জেলা জুড়ে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দল মাঠে নামার বার্তা দেওয়ায়, প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় এবং হাট-বাজারের চায়ের দোকানগুলোতে এখন কেবলই ধানের শীষ এর জয়গান।
মনোনয়ন তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক অনাবিল আনন্দ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে দলের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা একযোগে মাঠে নেমে পড়েছেন।
নেতাকর্মীরা মনে করছেন, অভিজ্ঞ ও সুপরিচিত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়ায় তাদের মনোবল অনেক গুণ বেড়েছে।  নোয়াখালী১ (চাটখিল–সোনাইমুড়ী) ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন
  নোয়াখালী২(সেনবাগ–সোনাইমুড়ী আংশিক) জয়নুল আবদীন ফারুক
  নোয়াখালী৩ (বেগমগঞ্জ)বরকত উল্লা বুলু
 নোয়াখালী ৪ (সদর–সূবর্ণচর) মোহাম্মদ শাহজাহান
 নোয়াখালী৫(কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট ও সদরের আংশিক) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম
 নোয়াখালী ৬ (হাতিয়া) মাহবুবের রহমান শামীম
এই ছয়জন প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার শপথ নিচ্ছেন স্থানীয় নেতারা।
  জেলা ছাত্রদলের এক কর্মী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমাদের পছন্দের এবং পরীক্ষিত নেতাদের হাতেই ধানের শীষ তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য প্রতিটি কেন্দ্রে জয় ছিনিয়ে আনা। এই আনন্দ আর উদ্দীপনা ভোটের দিন পর্যন্ত ধরে রাখব।
মনোনয়ন ঘোষণার পর রাতারাতি পাল্টে গেছে নির্বাচনী এলাকার দৃশ্যপট। মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নে মাইকিং করে দলের বার্তা ও প্রার্থীর পরিচয় জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিপুল পরিমাণে লিফলেট ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হচ্ছে।ছোট ছোট ঘরোয়া সভা এবং পথসভা করে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। প্রার্থীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।প্রার্থীরা ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে দলীয় কর্মীদের বিশাল বহর যুক্ত হওয়ায় তা সহজেই গণজোয়ারে রূপ নিচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নোয়াখালীর রাজনীতিতে বিএনপির এই পূর্ণ প্রস্তুতি ও কর্মীদের অভূতপূর্ব উদ্দীপনা আগামী নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। দলের এই ঐক্য এবং সাংগঠনিক সক্রিয়তাই তাদের ভোটের মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার মূল ভিত্তি।
নোয়াখালীর এই ছয়টি আসনে ধানের শীষের পক্ষে যে উৎসবের জোয়ার শুরু হয়েছে, তা কতটা কার্যকরভাবে ভোটের বাক্সে রূপান্তরিত হয়, সেটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তৃণমূলের এই আবেগ ও কর্মতৎপরতা ধরে রেখে জনগণের আস্থাকে বিজয়ে পরিণত করাই এখন ছয় প্রার্থীর প্রধান চ্যালেঞ্জ।
এখন দেখার বিষয় এই উদ্দীপনা কতটা কার্যকরভাবে ভোটে রূপান্তরিত হয়, আর ধানের শীষের পক্ষে নোয়াখালী আবারও কী নতুন অধ্যায় রচনা করে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

নোয়াখালীর অলিগলিতে এখন উৎসবের ঢেউ!  ৬ আসনেই প্রার্থী ঘোষণায় বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কর্মীদের আনন্দের জোয়ার

Update Time : ০৪:৫৫:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
মোহাম্মাদ হানিফ, নোয়াখালী  প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নোয়াখালীর ছয়টি আসনেই একক প্রার্থী ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই যেন পুরো জেলা জুড়ে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দল মাঠে নামার বার্তা দেওয়ায়, প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় এবং হাট-বাজারের চায়ের দোকানগুলোতে এখন কেবলই ধানের শীষ এর জয়গান।
মনোনয়ন তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক অনাবিল আনন্দ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে দলের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা একযোগে মাঠে নেমে পড়েছেন।
নেতাকর্মীরা মনে করছেন, অভিজ্ঞ ও সুপরিচিত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়ায় তাদের মনোবল অনেক গুণ বেড়েছে।  নোয়াখালী১ (চাটখিল–সোনাইমুড়ী) ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন
  নোয়াখালী২(সেনবাগ–সোনাইমুড়ী আংশিক) জয়নুল আবদীন ফারুক
  নোয়াখালী৩ (বেগমগঞ্জ)বরকত উল্লা বুলু
 নোয়াখালী ৪ (সদর–সূবর্ণচর) মোহাম্মদ শাহজাহান
 নোয়াখালী৫(কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট ও সদরের আংশিক) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম
 নোয়াখালী ৬ (হাতিয়া) মাহবুবের রহমান শামীম
এই ছয়জন প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার শপথ নিচ্ছেন স্থানীয় নেতারা।
  জেলা ছাত্রদলের এক কর্মী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমাদের পছন্দের এবং পরীক্ষিত নেতাদের হাতেই ধানের শীষ তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য প্রতিটি কেন্দ্রে জয় ছিনিয়ে আনা। এই আনন্দ আর উদ্দীপনা ভোটের দিন পর্যন্ত ধরে রাখব।
মনোনয়ন ঘোষণার পর রাতারাতি পাল্টে গেছে নির্বাচনী এলাকার দৃশ্যপট। মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নে মাইকিং করে দলের বার্তা ও প্রার্থীর পরিচয় জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিপুল পরিমাণে লিফলেট ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হচ্ছে।ছোট ছোট ঘরোয়া সভা এবং পথসভা করে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। প্রার্থীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।প্রার্থীরা ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে দলীয় কর্মীদের বিশাল বহর যুক্ত হওয়ায় তা সহজেই গণজোয়ারে রূপ নিচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নোয়াখালীর রাজনীতিতে বিএনপির এই পূর্ণ প্রস্তুতি ও কর্মীদের অভূতপূর্ব উদ্দীপনা আগামী নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। দলের এই ঐক্য এবং সাংগঠনিক সক্রিয়তাই তাদের ভোটের মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার মূল ভিত্তি।
নোয়াখালীর এই ছয়টি আসনে ধানের শীষের পক্ষে যে উৎসবের জোয়ার শুরু হয়েছে, তা কতটা কার্যকরভাবে ভোটের বাক্সে রূপান্তরিত হয়, সেটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তৃণমূলের এই আবেগ ও কর্মতৎপরতা ধরে রেখে জনগণের আস্থাকে বিজয়ে পরিণত করাই এখন ছয় প্রার্থীর প্রধান চ্যালেঞ্জ।
এখন দেখার বিষয় এই উদ্দীপনা কতটা কার্যকরভাবে ভোটে রূপান্তরিত হয়, আর ধানের শীষের পক্ষে নোয়াখালী আবারও কী নতুন অধ্যায় রচনা করে।