১১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

নির্বাচনী মাঠে রাজনৈতিক পরিচয় নয়, মানবিক পরিচয়ই শক্তি!

Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৪৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৪৬ Time View
 মোহাম্মদ হানিফ নোয়াখালী  প্রতিনিধি  :নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে রাজনৈতিক সমীকরণে এক নতুন ঢেউ। দলের বাইরে থেকেও জনমানুষের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন এক নিরহংকার সমাজসেবক গোলাম মর্তুজা। মানুষের মুখে মুখে এখন একটাই নাম ওই মানুষটাকে চাই সংসদে, যিনি সত্যিকার অর্থে মানুষের জন্য কাজ করেন।
দলীয় প্রচারণা, ব্যানার-পোস্টার বা ক্ষমতার অহংকার নয় নিজ অর্থে দরিদ্রের ঘরে ঘর তুলে দিয়ে, রোগীর পাশে দাঁড়িয়ে, শিক্ষার্থীর চোখে স্বপ্ন জাগিয়ে তিনি আজ মানুষের আস্থার প্রতীক। চাটখিল-সোনাইমুড়ী জুড়ে যেন একটাই সুর এইবার মানুষ দরকার, মুখ নয়!প্রকৃত মানব সেবক হিসেবে দেখতে চান সোনাইমুড়ি ও চাটখিলে  জনগণ।
গোলাম মর্তুজার হাত ধরে চাটখিল-সোনাইমুড়ীতে শুরু হয়েছে এক সামাজিক বিপ্লবের যাত্রা। তার স্বপ্ন ৫-জিরো প্রকল্প একটি দৃষ্টান্তমূলক মডেল, যার লক্ষ্য:শূন্য গৃহহীনতা. শূন্য চিকিৎসাহীন মৃত্যু
.শূন্য নিরক্ষরতা. শূন্য অদক্ষ জনশক্তি. শূন্য ভিক্ষাবৃত্তি
এই পাঁচটি সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে তিনি চাটখিল-সোনাইমুড়ীকে একটি আদর্শ মানবিক ও আত্মনির্ভরশীল জনপদে রূপ দিতে চান।
২০৪০ সালের মধ্যে চাটখিল-সোনাইমুড়ীতে একজন মানুষও যেন গৃহহীন না থাকে এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ৩৯টি পরিবারকে নিজ অর্থে আধুনিক ঘর করে দিয়েছেন। প্রতিটি ঘরে ছিল বৈদ্যুতিক সংযোগ, রান্নাঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট।
স্বাস্থ্যসেবা যেন কোনোভাবেই কারও কাছে বিলাসিতা না হয় এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এক লক্ষাধিক মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধ সহায়তা দিয়েছেন। চালু করেছেন ২৪ ঘণ্টা সেবাদানকারী ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, যা দুর্গম গ্রামেও সময়মতো পৌঁছে দিচ্ছে রোগী।
শিশুরা যেন অভাবের কারণে লেখাপড়া থেকে ঝরে না পড়ে, সে জন্য শত শত শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করেছেন। গ্রামের নানা প্রান্তে তিনি পাঠদান কর্মসূচি ও সচেতনতা তৈরি করেছেন। লক্ষ্য শূন্য নিরক্ষর চাটখিল-সোনাইমুড়ী।
বেকার তরুণদের জন্য নিয়মিত কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ আয়োজন করে যাচ্ছেন, যাতে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। অনেকেই এখন উদ্যোক্তা, কেউ কেউ চাকরি পেয়েছে দেশ-বিদেশে।
তিনি বিশ্বাস করেন ভিক্ষা নয়, সম্মানজনক জীবনই অধিকার।তাই তিনি ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও ক্ষুদ্র ব্যবসার পুঁজি দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলছেন। অনেকেই আজ নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গর্বিত জীবনের গল্প বলছে।
পরিবারই মানুষের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই বিশ্বাস থেকে তিনি আয়োজন করেছেন ফ্রি প্যারেন্টিং কোর্স, যেখানে হাজারো অভিভাবক ও কিশোর-কিশোরীরা অংশ নিয়েছে। নৈতিকতা, দায়িত্ব ও সম্পর্কের গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করেছেন তিনি।
একজন রাজনীতিবিদ না হয়েও রাজনীতির মাঠে তার নাম আজ সবচেয়ে আলোচিত। রাজনৈতিক ছত্রছায়া ছাড়াই জনতার মাঝে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। জনগণ বলছে ওনার মতো সৎ, নির্লোভ ও কার্যকর মানুষকেই এবার সংসদে দরকার।
এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম মর্তুজা প্রার্থী হন, তাহলে তিনি বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের চেয়েও বেশি জনসমর্থন পাবেন। জনগণ বলছে তিনি কোনো দলের প্রতিনিধি না, তিনি আমাদের প্রতিনিধি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন:
চাটখিল আমার মায়ের জন্মস্থান, সোনাইমুড়ী আমার বাবার।সোনাইমুড়িতে আমার জন্মস্থান  এই  জায়গার প্রতি আমার রক্তে মিশে থাকা ভালোবাসা থেকেই কাজ করি। আমি জনসেবাই করেছি, করবো। যদি জনগণ ও আল্লাহ চান, তবে সবকিছু ত্যাগ করে তাদের সেবায় জীবন উৎসর্গ করবো।
তিনি আরও বলেন:সংসদে যেতে হলে আমাকে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব, পরিবার ও ব্যবসা ত্যাগ করতে হবে। এটা ছোট কোনো সিদ্ধান্ত নয়, কিন্তু মানুষের জন্য হলে আমি প্রস্তুত।আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যদি জনগণের জন্য আমাকে কবুল করে তাহলে আমি  সকল কিছু ত্যাগ করি জনগণের সেবক হতে চাই আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে কবুল করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন গোলাম মর্তুজার মতো ব্যক্তি যদি প্রার্থী হন, তাহলে নোয়াখালী-১ আসনে প্রচলিত রাজনীতির বাঁক পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। কারণ জনগণের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা এখন যে কোনো দলের চেয়ে কঠিনভাবে প্রতিষ্ঠিত।
এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে এক বিশাল তরুণ সমাজ, যারা চায় আদর্শ নেতৃত্ব, কাজের মানুষ। তারা বলছে আমরা গোলাম মর্তুজাকে চাই। ওনার মতো লোক সংসদে গেলে আমরা শুধু উন্নয়ন না, ভরসাও পাবো। উনি একজন আদর্শ রোল মডেল।
গোলাম মর্তুজা রাজনীতি করেন না, তিনি মানবিকতা নিয়ে কাজ করেন। তাই মানুষও তাকে রাজনীতির বাইরে রেখে দেখতে নারাজ।যদি তিনি প্রার্থী হন, তবে এটা হবে শুধু একটি নির্বাচনী প্রার্থিতা নয় একটি মানবিক বিপ্লবের রাজনৈতিক রূপায়ন।
নোয়াখালী-১ আসনের জনগণের স্পষ্ট বার্তা আমরা মুখ নয়, মাটি ছোঁয়া কাজের মানুষ চাই। আর গোলাম মর্তুজা সেই মানুষ।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

নির্বাচনী মাঠে রাজনৈতিক পরিচয় নয়, মানবিক পরিচয়ই শক্তি!

Update Time : ০৪:৪৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
 মোহাম্মদ হানিফ নোয়াখালী  প্রতিনিধি  :নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে রাজনৈতিক সমীকরণে এক নতুন ঢেউ। দলের বাইরে থেকেও জনমানুষের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন এক নিরহংকার সমাজসেবক গোলাম মর্তুজা। মানুষের মুখে মুখে এখন একটাই নাম ওই মানুষটাকে চাই সংসদে, যিনি সত্যিকার অর্থে মানুষের জন্য কাজ করেন।
দলীয় প্রচারণা, ব্যানার-পোস্টার বা ক্ষমতার অহংকার নয় নিজ অর্থে দরিদ্রের ঘরে ঘর তুলে দিয়ে, রোগীর পাশে দাঁড়িয়ে, শিক্ষার্থীর চোখে স্বপ্ন জাগিয়ে তিনি আজ মানুষের আস্থার প্রতীক। চাটখিল-সোনাইমুড়ী জুড়ে যেন একটাই সুর এইবার মানুষ দরকার, মুখ নয়!প্রকৃত মানব সেবক হিসেবে দেখতে চান সোনাইমুড়ি ও চাটখিলে  জনগণ।
গোলাম মর্তুজার হাত ধরে চাটখিল-সোনাইমুড়ীতে শুরু হয়েছে এক সামাজিক বিপ্লবের যাত্রা। তার স্বপ্ন ৫-জিরো প্রকল্প একটি দৃষ্টান্তমূলক মডেল, যার লক্ষ্য:শূন্য গৃহহীনতা. শূন্য চিকিৎসাহীন মৃত্যু
.শূন্য নিরক্ষরতা. শূন্য অদক্ষ জনশক্তি. শূন্য ভিক্ষাবৃত্তি
এই পাঁচটি সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে তিনি চাটখিল-সোনাইমুড়ীকে একটি আদর্শ মানবিক ও আত্মনির্ভরশীল জনপদে রূপ দিতে চান।
২০৪০ সালের মধ্যে চাটখিল-সোনাইমুড়ীতে একজন মানুষও যেন গৃহহীন না থাকে এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ৩৯টি পরিবারকে নিজ অর্থে আধুনিক ঘর করে দিয়েছেন। প্রতিটি ঘরে ছিল বৈদ্যুতিক সংযোগ, রান্নাঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট।
স্বাস্থ্যসেবা যেন কোনোভাবেই কারও কাছে বিলাসিতা না হয় এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এক লক্ষাধিক মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধ সহায়তা দিয়েছেন। চালু করেছেন ২৪ ঘণ্টা সেবাদানকারী ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, যা দুর্গম গ্রামেও সময়মতো পৌঁছে দিচ্ছে রোগী।
শিশুরা যেন অভাবের কারণে লেখাপড়া থেকে ঝরে না পড়ে, সে জন্য শত শত শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করেছেন। গ্রামের নানা প্রান্তে তিনি পাঠদান কর্মসূচি ও সচেতনতা তৈরি করেছেন। লক্ষ্য শূন্য নিরক্ষর চাটখিল-সোনাইমুড়ী।
বেকার তরুণদের জন্য নিয়মিত কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ আয়োজন করে যাচ্ছেন, যাতে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। অনেকেই এখন উদ্যোক্তা, কেউ কেউ চাকরি পেয়েছে দেশ-বিদেশে।
তিনি বিশ্বাস করেন ভিক্ষা নয়, সম্মানজনক জীবনই অধিকার।তাই তিনি ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও ক্ষুদ্র ব্যবসার পুঁজি দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলছেন। অনেকেই আজ নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গর্বিত জীবনের গল্প বলছে।
পরিবারই মানুষের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই বিশ্বাস থেকে তিনি আয়োজন করেছেন ফ্রি প্যারেন্টিং কোর্স, যেখানে হাজারো অভিভাবক ও কিশোর-কিশোরীরা অংশ নিয়েছে। নৈতিকতা, দায়িত্ব ও সম্পর্কের গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করেছেন তিনি।
একজন রাজনীতিবিদ না হয়েও রাজনীতির মাঠে তার নাম আজ সবচেয়ে আলোচিত। রাজনৈতিক ছত্রছায়া ছাড়াই জনতার মাঝে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। জনগণ বলছে ওনার মতো সৎ, নির্লোভ ও কার্যকর মানুষকেই এবার সংসদে দরকার।
এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম মর্তুজা প্রার্থী হন, তাহলে তিনি বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের চেয়েও বেশি জনসমর্থন পাবেন। জনগণ বলছে তিনি কোনো দলের প্রতিনিধি না, তিনি আমাদের প্রতিনিধি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন:
চাটখিল আমার মায়ের জন্মস্থান, সোনাইমুড়ী আমার বাবার।সোনাইমুড়িতে আমার জন্মস্থান  এই  জায়গার প্রতি আমার রক্তে মিশে থাকা ভালোবাসা থেকেই কাজ করি। আমি জনসেবাই করেছি, করবো। যদি জনগণ ও আল্লাহ চান, তবে সবকিছু ত্যাগ করে তাদের সেবায় জীবন উৎসর্গ করবো।
তিনি আরও বলেন:সংসদে যেতে হলে আমাকে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব, পরিবার ও ব্যবসা ত্যাগ করতে হবে। এটা ছোট কোনো সিদ্ধান্ত নয়, কিন্তু মানুষের জন্য হলে আমি প্রস্তুত।আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যদি জনগণের জন্য আমাকে কবুল করে তাহলে আমি  সকল কিছু ত্যাগ করি জনগণের সেবক হতে চাই আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে কবুল করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন গোলাম মর্তুজার মতো ব্যক্তি যদি প্রার্থী হন, তাহলে নোয়াখালী-১ আসনে প্রচলিত রাজনীতির বাঁক পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। কারণ জনগণের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা এখন যে কোনো দলের চেয়ে কঠিনভাবে প্রতিষ্ঠিত।
এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে এক বিশাল তরুণ সমাজ, যারা চায় আদর্শ নেতৃত্ব, কাজের মানুষ। তারা বলছে আমরা গোলাম মর্তুজাকে চাই। ওনার মতো লোক সংসদে গেলে আমরা শুধু উন্নয়ন না, ভরসাও পাবো। উনি একজন আদর্শ রোল মডেল।
গোলাম মর্তুজা রাজনীতি করেন না, তিনি মানবিকতা নিয়ে কাজ করেন। তাই মানুষও তাকে রাজনীতির বাইরে রেখে দেখতে নারাজ।যদি তিনি প্রার্থী হন, তবে এটা হবে শুধু একটি নির্বাচনী প্রার্থিতা নয় একটি মানবিক বিপ্লবের রাজনৈতিক রূপায়ন।
নোয়াখালী-১ আসনের জনগণের স্পষ্ট বার্তা আমরা মুখ নয়, মাটি ছোঁয়া কাজের মানুষ চাই। আর গোলাম মর্তুজা সেই মানুষ।